Saturday 9 May 2015

ইশক-এ-ইলাহী

হযরত ঈসা (আঃ) একদা এক যুবকের পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলেন। যুবকটি বাগানে পানি সিঞ্চন করছিল। হযরত ঈসা (আঃ) কে দেখে যুবক বলল,  হে আল্লাহর নবী! আপনি আমার জন্য দোআ করুন, যেন আল্লাহ তাআলা আমাকে তাঁর ভালবাসার অণু পরিমাণ অংশ দান করেন।

হযরত ঈসা (আঃ) বললেন, তুমি তা সইতে পারবে না।

যুবক বলল, তাহলে অর্ধানু পরিমাণের জন্য দোআ করুন।

হযরত ঈসা (আঃ) দোআ করলেন, হে মহান প্রভু! এ যুবককে আপনার মহব্বতের অর্ধানু পরিমাণ দান করুন।

দোআর পর হযরত ঈসা (আঃ) আপন পথে চলে গেলেন।

বহুকাল পর তিনি সেই যুবকের বাড়ির পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। লোকজন বলল, বহুদিন যাবত যুবকটি পাগল অবস্থায় ছিল এবং বর্তমানে পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায় ঘুরে বেড়ায়। এ সংবাদ পেয়ে হযরত ঈসা (আঃ) দোআ করলেন, হে আল্লাহ! সেই নওজোয়ানের সাথে আমাকে দেখা করিয়ে দিন।

দোয়ার পর হযরত ঈসা (আঃ) দেখলেন, সে যুবক পর্বতমালার মাঝখানে একটি উঁচু শৃঙ্গে আকাশপানে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।



হযরত ঈসা (আঃ) তাকে সালাম দিলেন, কিন্তু সে কোন উত্তর দিল না।

পুনরায় হযরত ঈসা (আঃ) নিজের পরিচয় প্রদান করে বললেন, আমি ঈসা।

এ সময় আল্লাহর তরফ থেকে হযরত ঈসা (আঃ) এর প্রতি ওহী নাযিল হলঃ
"হে ঈসা! যার হৃদয়ে আমার ভালবাসা অর্ধানু পরিমাণও প্রবেশ করেছে, সে কখনও মানুষের আওয়াজ শুনতে পায়না। শুনে রাখ, আমার মহত্ত্ব ও পরাক্রমশীলতার কসম, তুমি এখন তাকে করাত দিয়ে চৌচির করে দিলেও সে বিন্দুমাত্র অনুভব করবে না।"
 


[সুত্রঃ মরণের আগে পরে - ইমাম গাজ্জালী (রঃ)]